নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশের রাজনীতির জীবন্ত কিংবদন্তী, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর সুযোগ্য পুত্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক স্বাস্থ্যমন্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া’র শোক প্রকাশ করেন।
তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে, টানা ৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শনিবার (১৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বেসরকারি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭২ বছর।
এক শোকবার্তায় ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানান
২০১৬ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিল এর পরে আমি দলটির উপ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে কাজ করার সৌভাগ্য অর্জন করি। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে যারা ছিলেন আমার কাছে পূজনীয়, বাংলাদেশের রাজনীতির জীবন্ত কিংবদন্তী, তাদের অনেকের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়। তাদের মধ্যে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর সুযোগ্য পুত্র মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন অগ্রগণ্য। তিনি ছিলেন ১৪ দলের মূল নেতা, মুখপাত্র।
আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে ১৪ দলের দপ্তরের সার্বিক কাজটিও আমাকে করতে হতো। এ কারণেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এর সাথে আমার যোগাযোগটা ছিল নিয়মিত। কাজের মাধ্যমেই বাংলাদেশের রাজনীতির অন্যতম সিনিয়র নেতা মোহাম্মদ নাসিমকে চিনেছি। তিনি খুব বেশি ম্যাচিউরড একজন পলিটিশিয়ান ছিলেন। যে কোন সংকটে তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত – বক্তব্য ছিল খুবই ব্যালেন্সড। আমৃত্যু মোহাম্মদ নাসিম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অনুগত ছিলেন।
অনেক অভিজ্ঞতার কারণে নাসিম ভাই বাংলাদেশের রাজনীতির একজন প্রাজ্ঞ বিশ্লেষক ছিলেন। তিনি আমাকে বিশেষ স্নেহ করতেন। যখন টেলিফোন করতেন বা কথা বলতেন, আমার প্রতি তার স্নেহ ও ভালোবাসা প্রতিফলিত হতো। নাসিম ভাইয়ের পরিবারের এক সদস্যের মুখেও জেনেছিলাম, একদিন তিনি বাসার খাবার টেবিলে কোন এক বিষয়ে আমার গল্প করছিলেন।
নাসিম ভাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে নাসিম ভাইয়ের শরীরের খবর রাখা আমার দায়িত্ব ছিল। প্রতিদিন নাসিম এর পুত্র তানভীর শাকিল জয় এর মাধ্যমে নাসিম ভাইয়ের খবর নিতাম। নাসিম ভাই কয়েকদিন যাবত সংকটাপন্ন অবস্থায় ছিলেন। যে খারাপ সংবাদটির জন্য সবসময় ভয়ে থাকতাম আজ সকালে সেই খবরটিই পেলাম। নাসিম ভাই আমাদের মাঝে নেই।
তিনি এমন একটি সময়ে বিদায় নিলেন যখন সারাবিশ্ব করোনায় আক্রান্ত। যার কারণে নাসিম ভাইয়ের প্রাপ্য সম্মান আর আমাদের শোক প্রকাশের আয়োজনও সীমিত রাখতে হচ্ছে। শ্রদ্ধেয় নাসিম ভাই, আপনি পরপারে শান্তিতে থাকুন। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি।