(লিটন পাঠান হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি)
হবিগঞ্জের মাধবপুরে পৌর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা গুলোতে আবারও বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো রকমারি মৌসুমী ফল বিক্রি হচ্ছে যত্রতত্র, বিষ মেশানো কাঁঠাল আম আনারস কলা, লিচু মাল্ট্রা আঙ্গুর আপেল, পাকিস্তানি তরমুজ লট্কন জাম সহ বেপরোয়া ভাবে নানা ধরনের ফল প্রকাশ্যে মাধবপুর পৌর-বাজার ও রাস্তাঘাটে পসরা,
সাজিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু মৌসুমী ফল, ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে অবাধে। আর বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্যে দ্রুত পাকানো এসব ফল খেয়ে প্রতিনিয়ত মানুষ লিভার কিডনী চর্মরোগ ক্যান্সার সহ নানা রোগ বালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অথচ মুনাফাখোর অসাধু মৌসুমী ব্যবসায়ীরা নির্বিচারে ফরমালিন সহ বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে,
এসব মৌসুমী ফল প্রকাশ্যে বাজারে, বিক্রি করায় জেলা প্রশাসক এর নিদের্শে মাধবপুর উপজেলা প্রশাসন থেকে এসব প্রতিরোধে কয়েকবার ফরমালিন বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হলেও পুনরায় তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, জাতীয় ফল কাঁঠাল পাকাতে এখন আর কেউ প্রকৃতির উপর নির্ভর করছে না। অন্যদিকে মৌসুম শুরু,
এক শ্রেণীর অসাধু ফল, ব্যবসায়ীরা রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে দ্রুত ফল পাকিয়ে বাজারে বিক্রি করছে। মাধবপুর উপজেলা শহর, স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ডে বুধবার (১৭-জুন) সকালে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার উৎপাদিত এবং আমদানী করা প্রচুর মৌসুমী ফলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ফল বিক্রেতারা। সেই সঙ্গে বেচা কিনাও চলছে পুরোদমে,
মাধবপুরে ভেজাল প্রতিরোধে একজন, স্যানিটারী কর্মকর্তা থাকলেও ভেজাল প্রতিরোধে তিনি সর্বদা উদাসিন। ক্রেতাদের অভিযোগ তিনি ভেজাল প্রতিরোধে কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেইনা। ফল বিক্রেতা শাহ আলম সহ একাধিক ব্যবসায়ীরা দাবি করে বলেন, এসব ফল মূলে স্থানীয় ভাবে কোনো রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয় না।
আমরা স্থানীয় আড়ৎদার থেকে ফল, ক্রয় করে থাকি। তবে যেখান থেকে ফল আনা হয় ওই এলাকার ফল ব্যবসায়ীরা ফলে রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে থাকে। তারা বলেন, এসব ফল বিক্রি করতে প্রায়ই তারা ক্রেতাদের নানা প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হয়। তবে সাধারণ ক্রেতারা ফল বিষাক্ত কি না এ ধরনের কোনো প্রশ্ন করেন না। স্থানীয় আড়ৎদাররা বলেন,
মৌসুমী ফল গুলো যে এলাকায় বেশি ফলন হয় তারা মূলত সেসব অঞ্চল থেকে পাইকারী হারে ফল ক্রয় করে থাকেন। মধুপুর ও টাঙ্গাইল এলাকার বেপারিদের কাছ থেকে আনারস এবং রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ সহ আশপাশ এলাকা থেকে আম কিনে থাকেন তারা। এসব আড়ৎদারদের দাবি তারা স্থানীয় আড়তে কোনো ফলে,
রাসায়নিক দ্রব্য মেশায় না। অনেক সময় বাগান মালিক ও বেপারিরা যাতে ফল পচে না যায় সেজন্য ফলের মধ্যে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে থাকেন। বাজারে ফল কিনতে আসা, মাধবপুর প্রেসক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হাসান, ও মনতলা শাহজালাল সরকারি কালেজের প্রভাসক আকতার হুসাইন, বলেন, সব সময় শুনে আসছি,
ফলে বিষাক্ত দ্রব্য মিশিয়ে ফল বিক্রি, করা হয়। এরপরও বাধ্য হয়ে কিছু ফল কিনতে হয়। ডিএসবির এসআই সাইকুল ইসলাম সুজন বলেন, বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগে পাকানো ফলমূল কোনো অবস্থায় খাওয়া সঠিক নয়। কারণ এসব ফল খেলে নানা জটিল রোগ ব্যাধি হতে পারে। এমনকি ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। তাই বিষ মেশানো এসব ফল,
মূল বাজারজাত এখনই বন্ধ করা উচিত। উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, ফরমালিন মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ফরমালিন যুক্ত দ্রব্যাদি সবারই পরিত্যাগ করা উচিত। এলাকার সচেতন মহল ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান।